প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি

প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি

আল্লাহ্ তা’য়ালা ও রসুল স: এর খাঁটি দ্বীনি শিক্ষা মতৃ জাতির কাছে পৌছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আল্লাহ্ তা’য়ালার মেহেবানীতে ক্ষুদ্র প্রয়াস হিসেবে খাছ পর্দা ও নিরাপদ পরিবেশে “জামিয়া দারুল ফাক্বাহাত মুফীদুল ইসলাম মাদরাসা” প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। আল্লাহ্ তা’য়ালা এরশাদ করেন

 مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً ۖ وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَযে সৎকর্ম সম্পাদন করে সে ঈমানদার পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করবো। এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরুস্কার যা তারা করত। একজন আদর্শ মা উপহার দিতে পারে একটি আদর্শ জাতি। সন্তানদের জন্য প্রথম বিদ্যালয় হলো মায়ের কোল, হযরত রসুলুল্লাহ্ স: এরশাদ করেন ইলমে দ্বীন শিক্ষা করা প্রত্যেক নর-নারীর উপর ফরজ, কিন্তু দু:খের বিষয় এই যে আজ আমরা নারীদের শিক্ষার প্রতি অবহেলা করি। নারীদের উপযুক্ত দ্বীনি শিক্ষার অভাবে মুসলিম জাতির তাহজীব-তামাদ্দুন, সভ্যতা ও গৌরব মাখা ঐতিহ্য আজ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তাই সমীক্ষায় দেখা যায় যে পুরুষের তুলনায় মহিলারা শুধু দ্বীনি ব্যাপারে অধিক অজ্ঞ তাই নয় বরং হাজারো মা-বোন আজ কালিমাহীন অবস্থায় দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিচ্ছে। তাছাড়া বর্তমানে মানব চরিত্র পাশ্চাত্য শিক্ষা ব্যবস্থা নারী জাতিকে ইলমে থেকে দুরে সরিয়ে বেপর্দা-বেহায়াপনা ও অশ্লীলতার চরম পর্যায়ে পৌছে দিচ্ছে। পাশ্চাত্য শিক্ষা  নারী জাতিকে বাজারের পণ্য হিসেবে ব্যবহার করছে। নারী জাতিকে এই অভিশাপ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমাদের এই দ্বীনি উদ্যোগ। বর্তমান জাগতিক উন্নত বিশ্বে সবকিছু আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নতি সাধিত হচ্ছে। অথএব আধুনিক পদ্ধতিতে ছেলে-মেয়েদেরকেও দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করে এই পদক্ষেপ গ্রহন করেছি। আমাদের সক্রিয় সহযোগিতায় আমরা আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাব ইনশা’য়াল্লাহ্ । আল্লাহ্ আমাদের সহায় হোন আমিন।

শুভেচ্ছান্তে

মুফতী আব্দুল জলীল

arrow_upward